সুভাষ চন্দ্র দাশ, বাসন্তী: নদীনালা,ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ভরপুর পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন।সুন্দরবনের অত্যন্ত পিছিয়েপড়া এলাকা বাসন্তী।ডাঙায় বাঘ আর জলে কুমিরের সাথে লড়াই করে এলাকার দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলো বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।এই সমস্ত পরিবারের অনেক ছেলে মেয়েরা প্রতিভাববান।অর্থনৈতিক প্রতিকুলার জন্য হারিয়ে যাচ্ছে।এমন সব পরিবারের ছেলেমেয়েদের খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখা মানে বামন হয়ে আকাশের চাঁদ ধরা।সুন্দরবনের ঐতিহ্য এবং সুনাম ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।উঠতি প্রতিভাববান খেলোয়াড়রা অর্থনৈতিক অভাবে যাতে হারিয়ে না যায়।প্রয়াত বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এবং প্রতিভাববান ফুটবলার গড়তে চলতি বছরের ১ জানুয়ারী চুনাখালিতে তৈরী করা হয় ‘জয়ন্ত নস্কর মেমোরিয়াল স্পোর্টস্ একাডেমি’।একাডেমির উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিলীমা মিস্ত্রী।বর্তমানে একাডেমিতে ১৪৭ জন ছাত্র ও ১৭ জন ছাত্রীদের কে বিনাব্যয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন আন্তর্জাতিক ফুটবল কোচ শেখর দত্ত,বিপ্লব বেরা,অসীম কয়াল।জয়ন্ত নস্কর মেমোরিয়াল স্পোর্টস্ একাডেমি’র সম্পাদক অচিন্ত্য হাউলি জানিয়েছেন,বিগত দিনের ন্যায় বাসন্তী তথা সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিভাবাবান ফুটবলার তুলে এনে প্রশিক্ষণ দিয়ে সুন্দরবনের সম্মান কে উজ্জ্বল করতে আমরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।এছাড়াও ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও যে ফুটবলে পিছিয়ে নেই সেটা আগামীতে প্রমাণ করবেন একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ফতেমা মোল্লা,আফুজা মোল্লা সহ ১৭ জন ছাত্রী। বিগত দিনে বাসন্তী কে আন্তর্জাতিকস্তরে সম্মান এনেদিয়েছিলেন এলাকার দুই প্রতিভাববান ফুটবলার ষ্ট্রাইকার জিয়ারুল পাইক এবং কীপার রাজেশ সরদার ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই এর ডেনমার্ক এর ‘ডানা’ কাপ খেলায় অংশ গ্রহন করে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের মূখ উজ্জল করেছিল।যা আজও সুন্দরবনের ইতিহাসে বিরল।আশাকরি বর্তমানে এই একাডেমি থেকে রাজেশ,জিয়ারুলদের মতো সুরোজিত সিং,বিমান মাহাতো’রা আন্তর্জাতিকস্তরে খ্যাতি অর্জনে সফল হবে।’ 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here