উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : এবার আম উৎপাদনে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভাঙতে চলেছে রাজ্য। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চলতি মরশুমে আমের প্রচুর ফলন হয়েছে। তাই গাছের ভার লাঘব করতে কাঁচা আম পেড়ে নিয়েচ্ছেন অনেক চাষি।পাকা আমের পাশাপাশি কাঁচা আমে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। কাঁচা আম কিনে নিয়ে গিয়ে অনেকে আচার, আমপল্লং, জেলি, আমের চাটনি, আম, দই, আম সন্দেশ-সহ বিভিন্ন ধরনের রেসিপি বানাচ্ছেন।সেজন্য বাজারে কাঁচা আমের ভালোই চাহিদা রয়েছে।আর তাতে লাভের মুখ দেখছেন রাজ্যের আম চাহিরা। রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং হর্টিকালচার বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের খরা কাটিয়ে এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে আমের।মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি সহ রাজ্যের সর্বত্রই আম গাছে প্রচুর ফল হয়েছে।ইতিমধ্যে পাকা আম ঢুকতে শুরু করেছে বাজারে। ফলন বেশি হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর রাজ্যের মানুষ অনেক কম দামে আম কিনতে পারছেন বলে আশাবাদী সরকারি আধিকারিকরা।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন খুচরো বাজারে কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে তাঁর সিংহভাগই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, বর্ধমান-সহ আশপাশের জেলার বাজারে বিক্রি হয়।জয়নগরের এক আম চাষি বলেন,এ বছর আমের রেকর্ড ফলন হয়েছে। আমরা আম পেরে উঠতে পারছি না। বাজারে কাঁচা আমের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। দামটাও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তাই কাঁচা আম বিক্রি করে দিচ্ছি।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়,কুলতলি,সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং জয়নগর সহ একাধিক ব্লকে অসংখ্য আম বাগান দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া, কিষাণভোগ, অগ্রপালি আমের স্বাদই আলাদা। এই আম খুবই রসাল হয়। খেতেও খুব সুস্বাদু। ধান, কাঁচা আনাজের পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা অন্যতম অর্থকরী ফসল হলো আম।এ সময় টানা তিন মাস আম পাড়া, আম পাকানো এবং আম বিক্রি করার কাজে কয়েক হাজার মানুষ যুক্ত থাকেন। এটাই তাঁদের সারা বছরের জীবিকা।আর এবারে আম বিক্রি করে হাসি ফুটেছে আম চাষিরা।