সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং : সিঁদুরে মেঘ সুন্দরবনের উপরে। তবে প্রবল ঝড়ের যে সম্ভাবনা ছিল তা আপাতত হচ্ছে না। তাতেই কিছুটা হলে স্বস্তিঃর নিঃশ্বাস ফেলেছে সুন্দরবনবাসী। বৃষ্টিপাতের প্রভাবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সুন্দরবন এলাকা গুলিতে তার উপরেই ভিত্তি করেই প্রশাসন শুরু করেছে তৎপরতা। বিভিন্ন নদী বাঁধ এলাকা গুলিতে এবং দ্বীপ বেষ্টিত জায়গাতে মাইকিং করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। যেহেতু প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে,তাই সুন্দরবন এলাকার নিচু দ্বীপ গুলিকে বেশি রকম সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
সুন্দরবন এলাকার গোসাবা , বাসন্তী , কুলতলী ক্যানিং সহ বিভিন্ন এলাকাতে প্রশাসন নজরদারি চালাচ্ছে। বিভিন্ন ফেরিঘাট গুলিকে ইতিমধ্যে সচেতন করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদেরকে নদীতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ দপ্তর, সেচ দপ্তর, সহ বিভিন্ন বিভাগকে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বিশেষ করে যেহেতু অমাবস্যার কোটাল চলছে তাই সুন্দরবনের নদী বাঁধ এলাকাতে সচেতন দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন। যে সমস্ত এলাকায় নদী বাঁধ ভাঙতে পারে বা দুর্বল,ভাঙার সম্ভাবনা আছে সেই এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। মজুত করা হয়েছে শুকনো খাবার ও ত্রিপল। যে সমস্ত বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় প্রবণ সেন্টার গুলি আছে সেগুলিও দ্রুত পরিষ্কার করার কাজ চলছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি বা বন্যা জনিত পরিস্থিতি হলে এই সমস্ত ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলিতে দুর্গত মানুষদেরকে এনে রাখার পরিকল্পনা আছে প্রশাসনের তরফে।
এ বিষয়ে ক্যানিংয়ের মহাকুমা শাসক মিঠুন বিশ্বাস বলেন, সাইক্লোনের কোনো ও সতর্কতা আপাতত নেই। তবে প্রবল বৃষ্টি এবং বৃষ্টি জনিত সমস্যার জন্য সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরকে সতর্ক করা হয়েছে। পানীয় জল থেকে শুকনো খাবার সব কিছুই মজুত রাখা হয়েছে।