উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,বারুইপুর: রোগীদের ভিড়ের চাপ কমাতে ও আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা তুলে দিতে দু বছর আগে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নয়া ভবন তৈরি করা হয়।কিন্তু এখনো তা চালু না হওয়ায় ক্ষোভ রোগী মহলে।বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। ফি মাসে তিন হাজার রোগী ভর্তি হয় এই হাসপাতালে। চাপ কমাতে দু’বছর আগে ঘটা করে উদ্বোধন করা হয়েছিল নতুন ভবনের। কিন্তু আজও তা চালু হল না। পরিকাঠামো সংস্কারও অনেক বাকি। এর জেরে ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবার পরিজন। হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায় বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরকে অনেকআগেই এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।আর অনুমোদন এসে গেলেই পূর্ত দপ্তরকে দিয়ে বাকি পরিকাঠামোর কাজ গুলো করানো হবে।আর সব কিছু হয়ে গেলে তবেই চালু হবে এই ভবন। দু’বছরআগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ জয়ন্ত ভদ্রের উদ্যোগে পঞ্চদশ আর্থিক কমিশনের অর্থে হাসপাতালে নতুন দোতলা একটি ভবনের উদ্বোধন হয়। ভবনে রোগীদের জন্য আলাদা ৪০- ৪৫ টি বেড থাকবে। হাসপাতালের পুরুষ বিভাগ এই ভবনে স্থানান্তর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আজও হল না।জানা যায়, হাসপাতালে প্রতি মাসে আউটডোর পরিষেবা নিতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আসেন। ইমারজেন্সি বিভাগে প্রতি মাসে প্রায় ১২ হাজার রোগী আসেন চিকিৎসা করাতে। মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল মিলিয়ে বেড সংখ্যা ৩৬৮টি। হাসপাতালে তৈরি নতুন ভবনের একতলায় শৌচালয় থাকলেও দোতলায় তা নেই। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ, জলের ব্যবস্থা কোনওটাই করা হয়নি। অক্সিজেনের পাইপ লাইন সহ আরও কাজ বাকি।সবই পড়ে আছে স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদন না আসায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর,দ্রুত যাতে অনুমোদন আসে তার জন্য একবছর আগে স্বাস্থ্যদপ্তরকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রও জমা দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।অনুমোদন এলেই সংস্কারের বাকি কাজ শুরু হয়ে যাবে।রোগীর আত্মীয়রা বলেন, নতুন ভবনে আলাদা বেডে রোগীদের চিকিৎসা শুরু হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। এত রোগীর চাপ এক বেডে দু’জন রোগীকে একসঙ্গে থাকতে হয়।