আজ দোসরা মে, সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন। এই উপলক্ষেই অভিনব ভাবে ঘোষিত হলো দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ছবির রিলিজ ডেট। শুধু চিত্র পরিচালক নয় , চিত্রশিল্পী হিসেবে সত্যজিৎ রায় ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ। এবং নিজের সিনেমার সমস্ত পোস্টারই ছিল তার নিজের হাতে তৈরি করা। এক ঝলক দেখেই বুঝে নেওয়া যায় কোনটি সত্যজিৎ রায় পোস্টার।
পরিচালক জয়ব্রত দাশ জানান, সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে একটি সত্যজিৎ অনুপ্রাণিত পোস্টারের মাধ্যমে তার সেই সমস্ত কাজকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে তিনি তার প্রথম সিনেমার রিলিজ ডেট ঘোষণা করলেন। এই পোস্টারটির প্রধান অনুপ্রেরণা ছিল সত্যজিৎ রায়ের দুটি ছবির পোস্টার প্রথমটি জয় বাবা ফেলুনাথ এবং আরেকটি চিড়িয়াখানা। পোস্টারটি তৈরি করেছেন পরিজাত মিদ্দা।
কিন্তু সিনেমার নাম কেন অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ? পরিচালক বলেন, এই সিনেমার প্রত্যেকটি চরিত্র এক একজন ক্রিমিনাল, এবং প্রত্যেকেই এক একটি বিশেষ বিশেষ কাজে দক্ষ। যেমন কেউ ভালো চুরি করতে পারেন, কেউ প্রফেশনাল হিটম্যান আবার কেউ লক আর্টিস্ট। আর যেহেতু এই প্রত্যেকটি কাজই এক একটি ফাইন আর্ট এবং চরিত্ররা আর্টিস্ট তাই , সিনেমার এই নাম।
এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রুদ্রনীল ঘোষ, সৌরভ দাস ,পায়েল সরকার , ঋষভ বাসু , রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি, অনুরাধা মুখার্জী , সুদীপ মুখার্জি,অমিত সাহা অনিন্দ্য পুলক ব্যানার্জি প্রমুখ।
রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ” বাংলায় পাল্প অ্যাকশন কমেডি – এই ধরনের ছবি এর আগে খুব একটা হয়নি। কাজেই এই অন্য ধরার ছবি যাতে বাঙালি দর্শকদের কাছে পৌঁছতে পারে এবং ফিল্ম স্কুলের ট্যালেন্টেড মেকাররা যাতে কাজের অভাবে কলকাতার বাইরে না চলে যায় সেজন্যই ছবিটির সাথে দাঁড়িয়েছি এবং এক টাকার বিনিময়ে প্রায় ২৭ দিন ধরে শুট করেছি।”
সৌরভ দাস জানান “যে ভাষায় এই ছবিটি কথা বলবে , সেই ভাষায় এর আগে বাংলায় সিনেমা তৈরি হয়েছে কিনা আমি জানিনা। “
নিজেদের চরিত্র এবং ছবি নিয়ে এই মুহূর্তে আর কিছু খোলসা করতে রাজি নন অভিনেতারা সবটাই ক্রমশ প্রকাশ্য।।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পরিচালক জয়ব্রত দাশ জানান ঘটনাচক্রে এই ছবির সমস্ত কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১ এর দোসরা মে। দীর্ঘ চার বছর পর এই ছবি মুক্তির আলো দেখছে ।
ফিল্ম ইনস্টিটিউট এর কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে, সম্পূর্ণ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভাবে , নিজেদের নিজস্ব পুঁজি দিয়ে চার বছর ধরে এই ছবিটি তৈরি করেছেন জয়ব্রত। বহুবার বন্ধ হয়ে গেছে ছবির কাজ, আবার ফান্ড জোগাড় করে শুরু হয়েছে। চার বছরের এই লম্বা যাত্রা পথে প্রত্যেকটি অভিনেতা যারা এই ছবিতে কাজ করেছেন,তারা সব রকম ভাবে সাহায্য করেছেন বলে জানান পরিচালক ।
সিনেমাটি শেষ করতে সাহায্য করেছেন সৌম্য সরকার এবং প্রমোদ ফিল্মসের কর্ণধার প্রতীক চক্রবর্তী।
ছবিতে ক্যামেরার দায়িত্বে আছেন অর্ণব লাহা এবং নবনীল সান্যাল। এডিটিংয়ের দায়িত্বে আশিক সরকার। ছবির এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার সংকেত মিশ্র এবং মানব সাহা।
আগামী ৪ই জুলাই সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এই ছবিটি।