সুভাষ চন্দ্র দাশ,গোসাবা – সন্ত্রাসবাদী হামলায় ভূঃস্বর্গ কাশ্মীরে ২৬ জন পর্যটক প্রাণ হারিয়েছিলেন। যা সমগ্র বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।শোকের ছায়া নেমে এসেছিল সমগ্র দেশে।কাশ্মীরে মৃত পর্পটকদের আত্মার শান্তি ও দেশের সেনাবাহিনীর মঙ্গল কামনা করে অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্যলগ্নে শুরু হয়েছিল হোমযঞ্জ। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের লাহিড়ীপুর পঞ্চায়েতের পরমণি গ্রাম।
সেখানে ‘পরশমণি শ্রীক্ষেত্র সেবাশ্রম সংঘ’ এর উদ্যোগ এমন মঙ্গলময় কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।আশ্রমের সেবাইত মহেশ্বর পান্ডার নেতৃত্বে কাশ্মীরে মৃত পর্যটকদের আত্মার শান্তি কামনা জানিয়ে দীর্ঘ এক সপ্তাহ ব্যাপি ভাগবত পাঠ ও শান্তি হোমযঞ্জ করা হয়।শান্তি হোমযঞ্জ শেষ হয় মঙ্গলবার।বুধবার শুধুমাত্র দেশের সেনাবাহিনীর মঙ্গল কামনা করে শাস্ত্রীয় মতে আবারও হোমযঞ্জ শুরু হয়। এমন মহতি অনুষ্ঠানে হাজার হাজার গ্রামবাসী যঞ্জস্থলে হাজীর হয় দেশের সেনাবাহিনীর মঙ্গল কামনা করেন।
আশ্রমের সেবাইত মহেশ্বর পান্ডা বলেন, “১৮ অধ্যায় গীতায় যা কথিত রয়েছে তা বাস্তবের সাথে মিল রয়েছে।সেটাই ঘটে চলেছে।পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে ভারত জয়ী হবেই।যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী সেখানে পৃথিবীর কোন শক্তি রদ করতে পারবে না।তাছাড়া শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’র চতুর্থ অধ্যায়ের জ্ঞানযোগ এর ষষ্ঠ শ্লোকে উল্লিখিত ভগবান বলেছেন ‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যুথ্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্। ’ অর্থাৎ হে ভারত,যখন প্রাণীগণের অভ্যুদয় ও নিঃশ্রেয়সের কারণ বর্ণাশ্রমাদি ধর্মের অধঃপতন ও অধর্মের অভ্যুথ্থান হয়,তখন আমি স্বীয় মায়াবলে যেন দেহবান্ হই,যেন জাত হই। ”